পৃথিবীর অনেক মানুষই বিশ্বাস করে:
-ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ,দয়াবান,ত্রুটিহীন
-এটাই আমাদের প্রথম এবং শেষ জীবন
- ঈশ্বর এখানে আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন
- পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা স্বর্গে অথবা নরকে যাব
জীবনটা হচ্ছে পরীক্ষা,সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ পরীক্ষক,এবং ফলাফল যদি পাস হয়(স্বর্গ) আর ফেল(নরক)
চলুন কিছু উদাহরনের মাধ্যমে এই প্রাথমিক ভিত্তিটা সমালোচনার আধারে মূল্যায়ন করে দেখি যে এগুলো কতটুকু যুক্তিসংগত
১.
অনেক শিশুই মাতৃগর্ভে মারা যায়,তারা কি স্বর্গে অথবা নরকে যায়?অনেকেই বলে যে তারা স্বর্গে যায় কারন তারা তাদের জীবনে কোন ভুল করে নি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ’’তাদের কি জীবনে ভুল করার কোন সুযোগ ছিল?’’
সৃষ্টিকর্তাকি এখানে একজনকে মুক্ত করে তার পক্ষপাতিত্ত করছেন না যেখানে তার পরীক্ষাও শুরু হয়নি অপরদিকে অরেকজনকে ১০০ বছর ধরে পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিতে হবে।
২.
অনেক শিশুই সঠিকভাবে পরিপক্ক(Mature) হওয়ার আগে অল্প বয়সেই মারা যায়। এমনকি তারা যদি কোন ভুল কাজও করে থাকে তবে সেটা তারা নিজেদের ইচ্ছায় নয় বরং না জেনে ভাল মন্দের বিচার না বুঝে অজ্ঞানতার খাতিরে করেছে। তারা কি স্বর্গে অথবা নরকে যায়?
যদি তারা স্বর্গে যায় তবে ’’কেন সৃষ্টিকর্তা সবাইকে বাল্যবয়সেই হত্যা করে প্রত্যেকের জন্য স্বর্গে স্হান নিশ্চিত করছেন না? সৃষ্টিকর্তাকি তাহলে অন্যায়কারী এবং ত্রুটিপূর্ণ নয়?
যদি তারা নরকে যায় তাহলে তাদের দোষটা কোথায়?
ধরি দুটো জমজ বাচ্চা জন্মগ্রহন করলো। দুজনই ৩ বছর নিষ্পাপ জীবনযাপন করলো। তারপর একজন মারা গেল। সে সরাসরি স্বর্গে চলে গেল আর অপরজন কয়েকবছর নিষ্পাপ জীবনযাপন করলো,তারপর খারাপ কাজে লিপ্ত হল এবং ৬০ বছর বয়সে মারা গেল। এখন স্বাভাভিক ভাবেই সে নরকে যাবে কারন সৃষ্টিকর্তা তার পরীক্ষা নিয়েছেন আর অপর ভাইকে নেননি কারন তিনি তাকে বাল্যকালেই মেরে ফেলেছেন..
সৃষ্টিকর্তাকি এখনে অপরাধী নন কারন তিনি এক ভাইকে ৬০ বছর জীবিত রেখেছেন আর অপর ভাইকে নয়?যদি তিনি দুজনকেই ৩ বছর বয়সে মেরে ফেলতেন তাহলে দুজনই স্বর্গে যেত।
তাহলে জীবন যদি একটাই হয় এবং স্বর্গ-নরক বলে যদি নির্দিষ্ট কোন স্হান থাকে তবে সৃষ্টিকর্তা অন্যায়কারী।
৩.
একজন মানুষ পাগল হয়ে জন্মালো। ৫ বছর পর্যন্ত তার মানসিক অবস্হার কোন উন্নতি হল না কিন্তু সে দীর্ঘজীবন বাঁচল তাহলে কি সে স্বর্গে অথবা নরকে যাবে?
আবারও উপরের একই প্রশ্নই উঠে এবং ফলাফল এই দাড়ায় যে হয় সৃষ্টিকর্তা অন্যায়কারী অথবা এক জীবন ও স্বর্গ নরকের ধারনাটা ভুল।
৪.
বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন স্হনে জন্মগ্রহন করে এবং পালিত হয় ও তাদের ধর্মও ভিন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যেক ধর্ম বলে যে একমাত্র তাদের ধর্মের মানুষই স্বর্গে যাবে অন্যরা নির্বিশেষে তাদের কৃতকর্মের জন্য নরকে যাবে।
তো কারা কোথায় যাবে?
আমার কি দোষ যদি আমি অন্য ধর্মে জন্মগ্রহন করে বেড়ে উঠি। সৃষ্টিকর্তা আগে থেকেই কেন আমার জন্য নরকে স্হান ঠিক করে রেখেছেন?
৫.
মানুষ বলে যে শিশুরা নিষ্পাপ তাই তারা যদি অল্প বয়সে মারা যায় তাহলে স্বর্গে যাবে। ধরি কেউ এই ব্যাপারটা খুব গুরুত্তের সাথে নিয়ে সিধান্ত নিল যে সমস্ত শিশুকে স্বর্গে প্রেরন করবে। একটা মহৎ উদ্দেশ্যে নিজেকে উৎসর্গ করে সে সব শিশুকে হত্যা করতে লাগল তার যুক্তি হচ্ছে- আমি সারাজীবন নরকের আগুনে পুড়তে রাজি কিন্তু আমি নিশ্চিত করে সমস্ত শিশুর জন্য স্বর্গে একটা স্হান সংরক্ষন করতে চাই!
সে তো নিঃশ্বার্থভাবে সমাজসেবা করছে। সে কি স্বর্গে অথবা নরকে যাবে?
যদি সে স্বর্গে যায় তাহলে সৃষ্টিকর্তা মানুষের অনুসরনীয় ভুল উদাহরন তৈরী করছেন।
যদি সে নরকে যায় তাহলে নিঃশ্বার্থ হওয়াটা খারাপ।
অধিকতর,শেষ বিচারের দিনের আগে কেউ আসলে জানবে না যে কে কোথায় যাবে,তার মানে সৃষ্টিকর্তা বহু নিষ্পাপ সমাজসেবীদের শিশু হত্যার বিষয় অনুসরন নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর পরিস্হিতির মধ্যে ফেলেছেন!
পারিপার্শিক অবস্হা নিরপেক্ষ মূল্যায়নে এটাই দাবী করে যে
-প্রথমত সমস্ত বিষয়টা সবাইকে একই সুবিধা এবং মনোযোগ দিয়ে শেখাতে হবে এবং তাও হবে একই পরিস্হিতির অন্তর্ভক্ত,
-তারপর সেগুলোকে একই পারিপার্শিক অবস্হার ছত্রছায়ায় মূল্যায়ণ করতে হবে।
এই অনুসারে,সৃষ্টিকর্তার অবশ্যই প্রকৃত ধর্ম এবং তার গ্রন্হসমূহ প্রত্যেক মানুষের üদয়ে প্রতিস্হাপন করাতে হবে,তারপর প্রত্যেককে একই ধরনের পরিবারে জন্মগ্রহন করাতে হবে,তাদেরকে একই ধরনের স্হান এবং পরিবেশে বেড়ে উঠতে দিতে হবে এবং তারপরেই শুধুমাত্র পরীক্ষার ব্যবস্হা করতে হবে। (চলবে)
-ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ,দয়াবান,ত্রুটিহীন
-এটাই আমাদের প্রথম এবং শেষ জীবন
- ঈশ্বর এখানে আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন
- পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা স্বর্গে অথবা নরকে যাব
জীবনটা হচ্ছে পরীক্ষা,সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ পরীক্ষক,এবং ফলাফল যদি পাস হয়(স্বর্গ) আর ফেল(নরক)
চলুন কিছু উদাহরনের মাধ্যমে এই প্রাথমিক ভিত্তিটা সমালোচনার আধারে মূল্যায়ন করে দেখি যে এগুলো কতটুকু যুক্তিসংগত
১.
অনেক শিশুই মাতৃগর্ভে মারা যায়,তারা কি স্বর্গে অথবা নরকে যায়?অনেকেই বলে যে তারা স্বর্গে যায় কারন তারা তাদের জীবনে কোন ভুল করে নি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ’’তাদের কি জীবনে ভুল করার কোন সুযোগ ছিল?’’
সৃষ্টিকর্তাকি এখানে একজনকে মুক্ত করে তার পক্ষপাতিত্ত করছেন না যেখানে তার পরীক্ষাও শুরু হয়নি অপরদিকে অরেকজনকে ১০০ বছর ধরে পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিতে হবে।
২.
অনেক শিশুই সঠিকভাবে পরিপক্ক(Mature) হওয়ার আগে অল্প বয়সেই মারা যায়। এমনকি তারা যদি কোন ভুল কাজও করে থাকে তবে সেটা তারা নিজেদের ইচ্ছায় নয় বরং না জেনে ভাল মন্দের বিচার না বুঝে অজ্ঞানতার খাতিরে করেছে। তারা কি স্বর্গে অথবা নরকে যায়?
যদি তারা স্বর্গে যায় তবে ’’কেন সৃষ্টিকর্তা সবাইকে বাল্যবয়সেই হত্যা করে প্রত্যেকের জন্য স্বর্গে স্হান নিশ্চিত করছেন না? সৃষ্টিকর্তাকি তাহলে অন্যায়কারী এবং ত্রুটিপূর্ণ নয়?
যদি তারা নরকে যায় তাহলে তাদের দোষটা কোথায়?
ধরি দুটো জমজ বাচ্চা জন্মগ্রহন করলো। দুজনই ৩ বছর নিষ্পাপ জীবনযাপন করলো। তারপর একজন মারা গেল। সে সরাসরি স্বর্গে চলে গেল আর অপরজন কয়েকবছর নিষ্পাপ জীবনযাপন করলো,তারপর খারাপ কাজে লিপ্ত হল এবং ৬০ বছর বয়সে মারা গেল। এখন স্বাভাভিক ভাবেই সে নরকে যাবে কারন সৃষ্টিকর্তা তার পরীক্ষা নিয়েছেন আর অপর ভাইকে নেননি কারন তিনি তাকে বাল্যকালেই মেরে ফেলেছেন..
সৃষ্টিকর্তাকি এখনে অপরাধী নন কারন তিনি এক ভাইকে ৬০ বছর জীবিত রেখেছেন আর অপর ভাইকে নয়?যদি তিনি দুজনকেই ৩ বছর বয়সে মেরে ফেলতেন তাহলে দুজনই স্বর্গে যেত।
তাহলে জীবন যদি একটাই হয় এবং স্বর্গ-নরক বলে যদি নির্দিষ্ট কোন স্হান থাকে তবে সৃষ্টিকর্তা অন্যায়কারী।
৩.
একজন মানুষ পাগল হয়ে জন্মালো। ৫ বছর পর্যন্ত তার মানসিক অবস্হার কোন উন্নতি হল না কিন্তু সে দীর্ঘজীবন বাঁচল তাহলে কি সে স্বর্গে অথবা নরকে যাবে?
আবারও উপরের একই প্রশ্নই উঠে এবং ফলাফল এই দাড়ায় যে হয় সৃষ্টিকর্তা অন্যায়কারী অথবা এক জীবন ও স্বর্গ নরকের ধারনাটা ভুল।
৪.
বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন স্হনে জন্মগ্রহন করে এবং পালিত হয় ও তাদের ধর্মও ভিন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যেক ধর্ম বলে যে একমাত্র তাদের ধর্মের মানুষই স্বর্গে যাবে অন্যরা নির্বিশেষে তাদের কৃতকর্মের জন্য নরকে যাবে।
তো কারা কোথায় যাবে?
আমার কি দোষ যদি আমি অন্য ধর্মে জন্মগ্রহন করে বেড়ে উঠি। সৃষ্টিকর্তা আগে থেকেই কেন আমার জন্য নরকে স্হান ঠিক করে রেখেছেন?
৫.
মানুষ বলে যে শিশুরা নিষ্পাপ তাই তারা যদি অল্প বয়সে মারা যায় তাহলে স্বর্গে যাবে। ধরি কেউ এই ব্যাপারটা খুব গুরুত্তের সাথে নিয়ে সিধান্ত নিল যে সমস্ত শিশুকে স্বর্গে প্রেরন করবে। একটা মহৎ উদ্দেশ্যে নিজেকে উৎসর্গ করে সে সব শিশুকে হত্যা করতে লাগল তার যুক্তি হচ্ছে- আমি সারাজীবন নরকের আগুনে পুড়তে রাজি কিন্তু আমি নিশ্চিত করে সমস্ত শিশুর জন্য স্বর্গে একটা স্হান সংরক্ষন করতে চাই!
সে তো নিঃশ্বার্থভাবে সমাজসেবা করছে। সে কি স্বর্গে অথবা নরকে যাবে?
যদি সে স্বর্গে যায় তাহলে সৃষ্টিকর্তা মানুষের অনুসরনীয় ভুল উদাহরন তৈরী করছেন।
যদি সে নরকে যায় তাহলে নিঃশ্বার্থ হওয়াটা খারাপ।
অধিকতর,শেষ বিচারের দিনের আগে কেউ আসলে জানবে না যে কে কোথায় যাবে,তার মানে সৃষ্টিকর্তা বহু নিষ্পাপ সমাজসেবীদের শিশু হত্যার বিষয় অনুসরন নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর পরিস্হিতির মধ্যে ফেলেছেন!
পারিপার্শিক অবস্হা নিরপেক্ষ মূল্যায়নে এটাই দাবী করে যে
-প্রথমত সমস্ত বিষয়টা সবাইকে একই সুবিধা এবং মনোযোগ দিয়ে শেখাতে হবে এবং তাও হবে একই পরিস্হিতির অন্তর্ভক্ত,
-তারপর সেগুলোকে একই পারিপার্শিক অবস্হার ছত্রছায়ায় মূল্যায়ণ করতে হবে।
এই অনুসারে,সৃষ্টিকর্তার অবশ্যই প্রকৃত ধর্ম এবং তার গ্রন্হসমূহ প্রত্যেক মানুষের üদয়ে প্রতিস্হাপন করাতে হবে,তারপর প্রত্যেককে একই ধরনের পরিবারে জন্মগ্রহন করাতে হবে,তাদেরকে একই ধরনের স্হান এবং পরিবেশে বেড়ে উঠতে দিতে হবে এবং তারপরেই শুধুমাত্র পরীক্ষার ব্যবস্হা করতে হবে। (চলবে)
ভাই কি কিছু জেনে বা বুঝে পোষ্ট করেছেন। ফাল্তু এবং মূর্খ পোস্ট।
উত্তরমুছুনভাই কি কিছু জেনে বা বুঝে পোষ্ট করেছেন। ফাল্তু এবং মূর্খ পোস্ট।
উত্তরমুছুন