প্রিয় পোষ্ট

জয় গীতা,

Image may contain: one or more people and text
সর্বপ্রথম শ্রীমদ্ভগবত গীতাকে উর্দু
ভাষায় অনুবাদ করেন মোহাম্মদ
মেহেরউল্লাহ ।পরবর্তীতে তিনি
ধর্মান্তর হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন ।
সর্বপ্রথম গীতাকে আরবি ভাষায়
অনুবাদ করেন একজন প্যালেস্টাইনী
যার
নাম এল ফাতে কমানন্ডো ।
যিনিপরবর্তীতে জার্মানীতে
ইসকনের
সাথে যোগ দিয়ে হিন্দু হয়ে যান ।
সর্বপ্রথম ইংরেজী ভাষায় গীতাকে
অনুবাদ করেন চার্লস উইলিকনস্ ।যিনি
পরবর্তীতে বলেন সব ধর্ম ধ্বংস হয়ে
যাবে কিন্তু হিন্দু ধর্মই একমাত্র
টিকে থাকবে ।
সর্বপ্রথম ইসরাইলের হিব্রু ভাষায়
গীতাকে অনুবাদ করেন
বেজাশিটায়ন ল ফন্হ ।পরবর্তীতে
তিনি ভারতে এসে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ
করেন ।
সর্বপ্রথম রুশ ভাষায় গীতাকে অনুবাদ
করেন নভিকভ ।যিনি পরবর্তীতে কৃষ্ণ
ভক্ত হয়ে যান ।
এছাড়া এ পর্যন্ত 193 জন মনীষী
গীতাকে অনুবাদ করেন ।
এদের মধ্যে
★ বাংলায় 58
★ ইংরেজি 88
★ জার্মান 12
★ রুশ 8
★ ফরাসী 8
★ স্পেনিশ 13
★ আরবি 5
★ উর্দু 3
ইত্যাদি আরো বেশ কয়েকটি ভাষায়
গীতাকে অনুবাদ করেন ।
মজার বিষয় সর্বপ্রথম আল কোরআনকে
বাংলায় অনুবাদ অনুবাদ করেন
গিরিশ চন্দ্র সেন ।
হ্যাঁ, তিনি কিন্তু অন্যদের মত ধর্মান্তর
হননি ।
- কপি পোষ্ট।

৬টি মন্তব্য:

  1. হিন্দুদের বহুল প্রচলিত মিথ্যাচার ভরা একটি পোষ্ট, যেটায় তারা দাবী করে যে, তাদের ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতা যারা যারা অনুবাদ করেছে তারা সকলেই নাকি হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেছে, কিন্তু মুসলিমদের কোরান অনুবাদকারী গিরিশচন্দ্র ইসলাম গ্রহন করেনি। এটা দ্বারা তারা বোঝাতে চায় হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়ে মানুষ আকৃষ্ট হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করে, কিন্তু কোরান পড়ে তা হয় না। আসুন তাদের মিথ্যাচারগুলো দেখি। ➤প্রথম মিথ্যাচার, সর্বপ্রথম শ্রীমদ্ভগবত গীতাকে উর্দু ভাষায় অনুবাদ করেন মোহাম্মদ মেহেরউল্লাহ । পরবর্তীতে তিনি ধর্মান্তর হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন । ➟জবাবঃ সর্বপ্রথম ভগবত গীতাকে উদু ভাষায় মেহেরউল্লাহ অনুবাদ করেন নি, এটা করেন আনোয়ার জালালপুরি। তবে মেহেরউল্লাহ হোক বা জালালপুরি, এদের কেউই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন নি। উর্দু অনুবাদক আনোয়ার জালালপুরি একজন উর্দু কবি, এবং আরবী, সংস্কৃত ও ইংরেজী ভাষার স্কলার। তিনি হিন্দু মুসলিম বন্ধন তৈরি করতে গীতা ও কোরান উর্দুতে অনুবাদ করেন, কিন্ত তিনি নিজে কখনোই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন নি। https:// lucknow.me/anwar- jalalpuri-genius-in-urdu- sankrit-and-english আর মোহাম্মদ মেহেরউল্লাহ তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহন ত দূরে থাক, তিনি গীতাই অনুবাদ করেন নি। প্রথমিক জীবনে তিনি খ্রিষ্টান মিশনারীদের দ্বারা খানিকটা আকৃষ্ট হন, তবে পরবর্তীতে তাদের ভন্ডামী ধরতে পেরে তাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ছিলেন খ্রিষ্টান মিশনারীদের অপততপরতার বিরুদ্ধে একজন মুসলিম আন্দোলনকারী লেখক। https://en.wikipedia.org/ wiki/Munshi_Mohammad_ Meherullah ➤ দ্বিতীয় মিথ্যাচার, সর্বপ্রথম গীতাকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন একজন প্যালেস্টাইনী যার নাম এল ফাতে কমানন্ডো ।যিনি পরবর্তীতে জার্মানীতে ইসকনের সাথে যোগ দিয়ে হিন্দু হয়ে যান। ➟জবাবঃ ফাতেহ কমান্ড নামে কারো কোন অস্তিত্বই নেই। গীতা আরবীতে প্রথম অনুবাদ করে ওসমানীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারগন। কলকাতার একজন ধনী ব্যাবসায়ীর অনুরোধে তারা এই কাজে হাত দেয়। এবং সেখান থেকে কেউই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেনি। তৃতীয় মিথ্যাচার, সর্বপ্রথম ইংরেজী ভাষায় গীতাকে অনুবাদ করেন চার্লস উইলিকনস্ ।যিনি পরবর্তীতে বলেন সব ধর্ম ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু হিন্দু ধর্মই একমাত্র টিকে থাকবে । ➟জবাবঃ চার্লস উইলিকিনস গীতা অনুবাদ করেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি কখনোই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন নি, আর সব ধংস হবে কিন্তু হিন্দু ধর্ম টিকে থাকবে এরকম কোন কথা তিনি আদৌ বলেছেন কিনা কোন প্রমান বা রেফারেন্স নেই। আর যদি বলেই থাকেন তো তিনি নিজে কেন হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন নি? ➤ চতুর্থ মিথ্যাচার, সর্বপ্রথম ইসরাইলের হিব্রু ভাষায় গীতাকে অনুবাদ করেন বেজাশিটায়ন ল ফন্হ । পরবর্তীতে তিনি ভারতে এসে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন । ➟জবাবঃ শত সার্চ করে বেজাশিটায়ন নামে কাউকেই পেলাম না গুগলে। হিব্রু ভাষায় গীতা অনুবাদ করেন তিনি একজন জিওনিষ্ট। তিনি কখনোই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন নি। ➤ পঞ্চম মিথ্যাচার, সর্বপ্রথম রুশ ভাষায় গীতাকে অনুবাদ করেন নভিকভ ।যিনি পরবর্তীতে কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে যান ➟জবাবঃ ডাহা মিথ্যা কথা, নভিকভ রুশ ভাষায় গীতা অনুবাদ করলেও কখনোই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন নি বা কৃষ্ণভক্ত হন নি। এবার আসি গিরিশচন্দ্র প্রসংগে। কোরানের বাংলা অনুবাদ প্রসংগে বহুল্ প্রচলিত একটি ভুল তথ্য হচ্ছে এর প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশচন্দ্র সেন। প্রকৃতপক্ষে গিরিশচন্দ্রেরও ৮০ বছর আগে কোরান প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আমীরউদ্দিন বসনিয়া। গিরিশচন্দ্রের কোরান অনুবাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মুসলিমদের মধ্যে হিন্দু ধর্ম প্রচার, পুরো কোরানকে তিনি ব্রাক্ষনবাদের মোড়কে লিখেছেন। আল্লাহর পরিবর্তে লিখেছন ঈশ্বর। তাই তার উদ্দেশ্য সহজেই অনুমেয়। আর এদের জন্যই কোরান লিখেছে, "তারা মূক, বধির ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।" (২:১৮) তবে যুগে যুগে বহু কোরান অনুবাদকারীই কোরান অনুবাদ করতে যেয়ে ইসলামের সত্যতা বুঝতে পেরে ইসলাম কবুল করেছেন, ➽ Abdel Ghani Malera স্পানিশ ভাষায় কোরান অনুবাদ করেন এবং ইসলামের সত্যতা অনুধাবন করে ১৯৭৯ সালে ইসলাম গ্রহন করেন। হিব্রু ভাষায় কোরান অনুবাদ করেন এবং ইহুদি ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহন করেন,➽ marmaduke pickthall ইংরেজী ভাষায় কোরান অনুবাদ করেন এবং এরপর খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহন করেন। তার অনুবাদ কোরানের সেরা ৬ ইংরেজী অনুবাদ মধ্যে অন্যতম। মারমাডিউক_পিকথাল ➽ সালমান আল ফারশী সর্বপ্রথম পারসী ভাষায় কোরান অনুবাদ করেন এবং পারসীয়া

    উত্তরমুছুন
  2. আপনি যেহেতু লিখেছেন অবশ্যই তার তথ্যসূত্র আছে। সেই তথ্য সূত্র দিন আর যদি না দিতে পারেন তাহলে আমি হিন্দু হয়েও আপনার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারি

    উত্তরমুছুন
  3. আমার বিশ্বাস ও আমি যতটুকু জানি , হিন্দুরা
    ধর্মের নামে মিথ্যা বলে না । অন্যান্যরা যা করে থাকে।

    উত্তরমুছুন