শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আমি কে


১।আমি কে.......??????
উঃ....... আমি চিন্ময় আত্মা,
স্থুল জড় দেহ নই।
২।আত্মার নিত্যধর্ম কি.........??????
উঃ.........ভগবান পূর্ণ, আত্মা তার
অংশ,জীবাত্মার নিত্যধর্ম
হচ্ছে ভগবানের সেবা করা।
৩।জীবের মৃত্যুর পর তার
কি হবে.......??????
উঃ.........জীবের মৃত্যুর পর দুই প্রকার
গতি হয়। (এক) __যে সমস্ত জীব ভগোবান
শ্রীকৃষ্ণের নিকট আত্মসমর্পন করে,
তারা ভগবদ্ভজনের প্রভাবে সমস্ত জড়
কলুষ থেকে মুক্ত হয়ে নিত্য আলয়
ভগবদ্ভামে গমন করে।
সেকানে তারা দিব্য শরীর প্রাপ্ত
হয়ে নিত্যকালের জন্য ভগবানের
সেবায় নিযুক্ত হয়।
(দুই)__ যাদের জড়জাগতিক
কামনা বাসনা আছে, তারা মৃত্যুর
মাধ্যমে ক্ষিতি, অপ,তেজ, মরুৎ ও
ব্যোমা দিয়ে তৈরি স্থুল
শরীরকে পরিত্যাগ করে।কিন্তু মন,
বুদ্ধি ও অহংকার নির্মিত সূক্ষ্ম শরীর
তাদের পাপ ও পূণ্য কর্মফল বহন করে।
পাপকর্মের ফলস্বরুপ
তারা যমযাতনা ভোগ করে আর
পুণ্যকর্মের ফলস্বরুপ স্বর্গসুখ ভোগ
করে থাকে।এই ভোগের পর তাদের
নিজ নিজ কর্ম ও
চেতনা অনুসারে তারা আর একটি স্থুল
জড় শরীর প্রাপ্ত হয়।এভাবে ৮৪ লক্ষ
জীব পজাতির যে কোন একটি প্রজাতিতে তাদের জন্মগ্রহণ করতে হয়।
৪।দেহ ও আত্মার পার্থক্য কি......??????
উঃ........ জড় বস্তু দ্বারা নির্মিত শরীর
সদা পরিবর্তনশীল, নশ্বর বিনাশশীল,
অনিত্য, স্থুল, ভহিরঙ্গা জড়া প্রকৃতির
সৃস্টি। জড় দেহ অচেতন, পরিমাপযোগ্য,
তাকে কাটা যায় শুকানো যায়,
পোড়ানো যায়,ভেজানো যায়,তা দুঃখ
ক্লেশের আধাঁর স্বরুপ।
আত্মা অপরিবর্তনিয়, অব্যয়, অক্ষয়,
অবিনশ্বর, নিত্য,সনাতন,সূক্ষ্ম অপরিমেয়,
ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ, চেতন,
অচ্ছেদ্য, অদাহ্য, অাক্লেদ্য, অশোষ্য,
সর্বব্যাপ্ত, অানন্দময়।
৫।এই জড় জগতে কত
প্রকার জীব প্রজাতি রয়েছে.....????
এবং তাদের বর্ণনা......!
উঃএই জড়জগতে ৮৪ লক্ষ জীব
যোনি রয়েছে। এদের মধ্যে ৯ লক্ষ
জলচর, ২০ লক্ষ উদ্ভিদ, ১১ লক্ষ
ক্রিমিকিট, ১০ লক্ষ পাখি, ৩০ লক্ষ পশু ও
৪ লক্ষ মানুষ।
৬।জীবের প্রকৃত সমস্যা বা দুঃখ
কি.......?????
উঃ..........জীবের প্রকৃত
সমস্যা বা দুঃখ হচ্ছে __ জন্ম, মৃত্যু,
জড়া ও ব্যাধি।
৭।ত্রিতাপ ক্লেশ কি......?????
উঃ জড় জগতে অবস্থান
কালে জীবাত্মা যে তিন রকম
অবশ্যম্ভাবী দুঃখ ভোগ
করে তাকে বলা হয় ত্রিতাপ ক্লেশ।
সেগুলো হচ্ছে (১)অাধিভৌতিক
ক্লেশ (২) অাধিদৈবিক ক্লেশ ও (৩)
অাধ্যাত্মিক ক্লেশ। জীব তার
নিজের মন ও শরীর থেকে যে ক্লেশ
প্রাপ্ত হয় তা অাধ্যাত্মিক ক্লেশ।
যেমনঃ মানসিক কস্ট, রোগ
ব্যাধি ইত্যাদি। অন্য জীব
থেকে প্রাপ্ত ক্লেশ
কে অাধিভৌতিক ক্লেশ বলা হয়।
যেমনঃ সাপের কামড়, মশা মাছি,
চোর গুন্ডার উপদ্রব ইইত্যাদি।
দৈবক্রমে অর্থ্যাৎ দেবতাদের
দ্বারা প্রদত্ত যে ক্লেশ,
তাকে অাধিদৈবিক ক্লেশ বলা হয়।
যেমনঃঅনাবৃষ্টি, ঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প
ইত্যাদি।
৮।পুনর্জন্ম কি.........???????
উঃ জীবাত্মা যে শরীরের
মধ্যে অবস্থান করে সেই শরীর কৌমার
থেকে যৌবন অবস্থায়
ক্রমান্বয়ে পরিবর্তিত হতে থাকে।
কিন্তু দেহস্থ অাত্মার কোন পরিবর্তন
হয় না।ঠিক যেমন পুরানো কাপড়
পরিত্যাগ করে নতুন কাপড় পরিধান
করা হয়, তেমনি জীবাত্মা ব্যবহার
অযোগ্য জরাজীর্ণ শরীর পরিত্যাগ
করে।তার কর্ম
এবং বাসনা অনুসারে অারেকটি নতুন
শরীর গ্রহণ করে। অাত্মার এই নতুন শরীর
ধারণকে বলা হয় পুনর্জন্ম।
৯।কর্মবন্ধন কি............???????
উঃ জীব এই জড়াজগতে বিভিন্ন
কামনা বাসনা নিয়ে কর্ম
করে থাকে। ফলে সে তার
প্রতিটি কৃতকর্মের ফল ভোগ
করতে বাধ্য থাকে।সেই কর্ম
অনুসারে তাকে বার বার জড় শরীর
ধারণ করতে হয়। নতুন শরীরে সে নতুন কর্ম করে এবং ঐসব কর্মের ফল ভোগের জন্য অাবার ত্কে জন্ম নিতে হয়, এরকম
চলতেই থাকে।এইরুপ বদ্ধ অবস্থাকে বলা হয় কর্মবন্ধন।
১০।জীবের চরম লক্ষ্য কি........???? উঃ.........জীবের চরম লক্ষ্য হচ্ছে - পরমেশ্বর ভগবানের সঙ্গে তার হারানো সম্পর্ককে পুনঃস্থাপন করে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি মূলক সেবায় নিযুক্ত হওয়া, অর্থ্যাৎ কৃষ্ণ প্রেম লাভ করা।"জয় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়"
=_= হরিবল =_=

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন