যোগস্তপ দমঃ দানং ব্রতং শৌচং দয়া শ্রোতম্ ।
বিদ্যা বিজ্ঞানমাস্তিক্যমেতৎ ব্রাহ্মণঃ লক্ষণম্ ॥
❤ ❤ ❤ ❤ ❤ ❤ ❤ ❤ ❤ ❤ ❤ 1- যোগ :- যম , নিয়ম , আসন, প্রাণায়াম , প্রত্যাহার , ধারণা , ধ্যান ও সমাধি এই অষ্টাঙ্গ যোগ দ্বারা মূলাধারে অবস্হিত কুণ্ডলিনী শক্তিকে সুষুম্না নাড়ী দ্বারা ব্রহ্মরন্ধ্রে স্থিত শিবের সহিত মিলিত করাই যোগ ।
2- তপ :- পূজা , পবিত্রতা , সরলতা , ব্রহ্মচর্য , অহিংসা , বেদাদিশাস্ত্র পাঠ , পরমেশ্বর এর নাম জপ এবং মনের নিগ্রহ এইসব কে তপ বলে ।
3- দম :- কান, ত্বক , চক্ষু , নাক ও জিহ্বা এই পাঁচ জ্ঞানেন্দ্রিয় তথা বাক্ , হস্ত ,পদ , গুদা ও উপস্থ এই পাঁচ কর্মেন্দ্রিয় আমাদের সর্বদা ভোগ - কামনার দিকে নিয়ে যায় এদেরকে বশীভূত করাকে দম বলে ।
4- দান :- যার কাছে যেই বস্তুর অভাব আছে , সেই বস্তুর দ্বারা সেই ব্যক্তিকে নিঃস্বার্থ সেবা করাকে দান বলে ।
5 - ব্রত :- আত্মকল্যাণ ( মুক্তি ) এর জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়াকে ব্রত বলে ।
6 - শৌচ :- অন্ন থেকে আহারের , ব্যবহার থেকে আচরণের , জল থেকে শরীরের এবং রাগ , দ্বেষ , কপট ত্যাগ করলে অন্তঃকরণ এর শুদ্ধতা হয় , একে শৌচ বলে ।
7 - দয়া :- হিংসা ত্যাগ করে সকল জীবে প্রেম ভাবকে দয়া মানা হয় ।
8 - শ্রুতি :- বেদ অধ্যয়ন - অধ্যাপন করা এবং বেদোক্ত পরমতত্ত্ব (সার) কে অনুভব করা ।
9 - বিজ্ঞান সম্মত বিদ্যা :- পরমব্রহ্ম পরমেশ্বর এর প্রাপ্তির সাধন " জ্ঞান " বিজ্ঞান সম্মত বিদ্যা ।
10 -- আস্তিক্য :- ঈশ্বর এবং ইহলোক - পরলোক আদিতে শ্রদ্ধাকে আস্তিক্য বলে ।
এই দশ লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তিই ব্রাহ্মণ বলার যোগ্য ।
ওঁ নমঃ শিবায় .....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন