শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬

পবিত্র বেদ অঅমৃত সমান ঋদগবে

ঋদগবে ১০।৮২।০৬ন তং বিদাথ য় ইমা জজানান্যদ্যুষ্মাকমন্তরং বভূব।
নীহারেণ প্রাবৃতা জল্প্যা চাসুতৃপ উক্থশাসশ্চরন্তি।।
অনুবাদ: [হে মানুষ!] তুমি তাঁকে অর্থাৎ পরমাত্মাকে বুঝতে পারছ না। তিনিই এই জগতকে রচনা করেছেন। তিনি তোমাদের মাঝে বিরাজমান অথচ তোমাদের থেকে পৃথক। বিষয়াসক্ত মানবেরা অবিদ্যার কুয়াশা ও শুকনো তর্কে ডুবে থেকে সাংসারিক বিষয়কেই তৃপ্তির লক্ষ্য মনে করে এবং বহু শাস্ত্র পাঠকেরাও ইতস্ততঃ ভ্রমণ করে।
এই মন্ত্র দ্বারা এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে ঈশ্বর সর্বব্যাপী হয়েও, আমাদের মাঝে বিরাজিত হয়েও আমাদের থেকে পৃথক। এই মন্ত্র আরো বলছে এত নিকটে থাকার পরেও আমরা তাঁকে অনুভব করতে পারছি না। কেন? “নীহারেণ প্রাবৃতা জল্প্যা চাসুতৃপ” অর্থাৎ বিষয় ভোগে ডুবে থাকার ফলে অবিদ্যার কুয়াশার দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে এবং কুতর্ক বলে বিষয় ভোগকেই সেরা বিবেচনা করায় আমাদের এই অবস্থা। যতদিন আমাদের ভোগবাদকে বুদ্ধিযোগ বা জ্ঞানযোগে রূপন্তরিত না করব ততদিন আমরা আমাদের সবথেকে নিকটতর সত্ত্বাকে অনুধাবন করতে পারব না।
এই মন্ত্র আরো বলছে, বহুশাস্ত্রপাঠীরাও দিক ভ্রান্ত পথিকের ন্যায় ইতস্ততঃ ভ্রমণ করছে। উপনিষদ আমাদের বলে কেবল শাস্ত্রপাঠ করে ব্রহ্মলাভ হয় না। তোতাপাখির মত কেবল বেদ আওড়ে গেলাম, কিন্তু কি বলল তার কিছুই বুঝলাম না; তবে এই পাঠ আপনার বৃথা। তাই আপনি যখনই শাস্ত্র পাঠ করবেন তা বুঝে পাঠ করবেন। এতেই আস্তে আস্তে আপনার মাঝে বিকাশিত হবে জ্ঞানের, ধীরে ধীরে আপনি এগিয়ে যাবেন ঈশ্বর লাভের পথে।
ওঁ শান্তি! শান্তি! শান্ত

Image may contain: 1 person , text

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন