বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

সম্রাট আকবর প্রকৃত ইতিহাস:দ্বিতীয় পর্ব

বলা হয়ে থাকে আকবর নাকি ভারত বর্ষের সবচেয়ে দয়ালু শাসক ছিলেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি তার বাপ দাদার পূর্ব পুরুষের ধারা অনুযায়ী দয়াশীলতার নমুনা দেখিয়েছিলেন। নভেম্বর৬, ১৫৫৬ সালে হেমুর সাথে পানিপথের যুদ্ধে তিনি ছিলেন। মুঘলরা বড় ধরনের পরাজয়ের সম্মুখীন ছিল কিন্তু হঠাৎ করে একটি তীর হেমুর চোখে বিদ্ধ হয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে পরেন এবং তারা সৈন্যরা আসন্ন পরাজয় ধারণা করতে পেরে পালিয়ে যায়। অজ্ঞান অবচেতন হেমুকে দয়ালু আকবরের সামনে আনা হয়।
বৈরাম খান আকবরকে আদেশ দেন তার শীরচ্ছেদ করার জন্য যাতে করে সে “গাজী” উপাধি লাভ করেন। ( মৌলবাদী মুসলিমদের জন্য “গাজী” হচ্ছে খুবই সম্মান জনক উপাধি যা শুধুমাত্র কাফির/অবিশ্বাসিদের হত্যার মাধ্যমেই প্রাপ্ত হয় এবং একজন গাজীর সর্বোচ্চ বেহেস্ত ও সবার সেরা সুন্দরী নসীব হয়।)

তাই আল্লাহ্‌কে খুশী করার জন্য এবং শান্তির প্রতীক মুহাম্মদ-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আকবর অজ্ঞান অবচেতন হেমুর শীরচ্ছেদ করেন। তার সৈন্যদল তাকে অনুসরণ করে হেমুর দেহটাকে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে এবং তার মস্তক কাবুলে পাঠানো হয় আর তার দেহ দিল্লীর গেটে ঝুলিয়ে রাখা হয় আকবরের দয়াশীলতার নমুনা হিসেবে।

ঠিক তারপর পরই তার সৈনিকরা দিল্লীতে প্রবেশ করে। পরে যুদ্ধের বিজয়কে উদযাপন করার জন্য তাদের পরিবারের পুরনো প্রথানুযায়ী আকবর দ্বারা কাটা মন্ডু/মস্তক দিয়ে একটি স্তম্ভ নির্মান করা হয়।

তাদের এই উদযাপনে বাড়তি রঙ দেবার জন্য হেমুর অসহায় বৃদ্ধ বাবাকে হত্যা করা হয়। তাহলে নারীদের কি অবস্থা হয়েছিল সেটা বলার প্রয়োজন নেই। আকবর ইতিমধ্যেই তার বিশাল হেরেম খানার পরিকল্পনা করে ফেলেছিল!

আবুল ফজলের ভাষ্যনুযায়ী বিদ্রোহী খান জামানকে প্রতিহত করার জন্য তার বিশস্ত্ব মুহাম্মদ মিরককে বন্দী করা হয় এবং তাকে হাতীর সমুখে আনা হয়। হাতীটি তাকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এই ভাবে পাঁচ দিন চলতে থাকে এবং তার পরে তাকে হত্যা করা হয়। আবুল ফজলে এই কথাগুলো খুবই গর্ব করে বর্ণণা করেছে। তার ভাষায় বিন্দু মাত্র নিন্দার কোন ছিটেফোঁটা ছিল না।

চিত্তোড দখল করার পরে আকবরের হুকুমে ব্যাপক ধ্বংস যজ্ঞ চালানো হয়। সেখানে প্রায় ৩০,০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়।

আঁকবর অত্যাচার ও হত্যা করার নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন। মুজাফ্বর শাহ্‌কে হাতি দিয়ে পিষ্ট করে হত্যা করা হয়। হামহাবনের জিহ্বা কেটে ফেলা হয়। মাসুদ হুসাইনের চোখ সেলাই করে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তার ৩০০ জন সমর্থককে আকবরের সামনে আনা হয়। তারপরে তাদের মুখের উপর গাধা, ভেড়া ও কুকুরের চামড়া দিয়ে ঢেকে দিয়ে তাদের হত্যা হত্যা করা হয়। স্মিথের তালিকাতে আরও রয়েছে যেমন ঝুলিয়ে হত্যা করা, হাত কাটা, শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা, বেত্রাঘাত করা ইত্যাদি। এই ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য কোন লিখিত হুমুকের প্রয়োজন পরতো না এবং বিচারের রায় দেয়া হয় শুধু মাত্র শান্তিপুর্ন কুরানের আয়াত অনুসরণের মাধ্যমে।

২রা সেপ্টেম্বর ১৫৭৩ সালে আহমেদাবাদে ২০০০ এর বেশী কাটা মস্তক দিয়ে একটি স্তম্ব বানানো হয়েছিল। সম্ভবত সর্বোচ্চ কাটা মস্তকের তৈরী পিলার এটি যা পূর্বের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছিল। ( আগের রেকর্ডটি ছিল তার পিতামহ বাবরের) আকবর নামানুসারে , বাংলার দাউদ খানকে যখন পরাজিত করা হয় তখন তাদের কাছে আটটি উঁচু স্তম্ব তৈরী করার মত যথেষ্ট কাটা মস্তক ছিল। এটিও একটি নতুন রেকর্ড করেছিল। যখন মৃত্যু আসন্ন দাউদ খান একটু জল চেয়ে ছিল তাকে জুতার মধ্যে করে জল দেয়া হয়েছিল।

আকবরের ন্যায়পরায়ণতার বোধ

থানেশ্বরে একটি জায়গার মালিকানা নিয়ে কুরু ও পুরি এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ ছিল। আকবর তাদের হুকুম দিয়ে লড়াই করতে বলে এবং বিজয়ী দল এই জায়গার মালিকানা পাবে। নির্বোধ দুই সম্প্রদায় আকবরের কথায় লড়াই করে পরস্পরকে হত্যা করতে থাকে। যখন পুরির দল লড়াইয়ে প্রাধান্য বিস্তার করছিল তখন আকবর তার সৈন্যদের হুকুম দিলেন কুরুর দলে যোগ দিতে। পরিশেষে দুই দলই আকবর সৈনিকদের হাতে নিহত হয়। আকবর পরে অট্টহাসিতে মেতে ওঠে।

হালদিঘাটি যুদ্ধের সময় আকবর সিদ্ধান্ত নেয় যে রাজপুত রাজপুতের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। তুমুল যুদ্ধ চলাকালীন আকবরের সেনাপতি বাদায়ুনি তাকে জিজ্ঞেসে করে কিভাবে রানা প্রতাপের সৈন্যদল থেকে পৃথক হবে। আকবর জবাবে বলে সেটা জানার কোন প্রয়োজন নেই কারন এতে করে রাজপুত মারা যাবে এবং ইসলাম লাভবান হবে।

সেনাপতি তোদ বর্ণণা দেন কিভাবে আকবর শিব লিঙ্গের প্রতিমা ভেঙ্গে সেখানে জায়নামাজ পেতে দেন নামায পড়ার জন্য। ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কি অপূর্ব নিদর্শন!!

একবার আকবর দুপুরের একটু আগে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বিছানার কাছে এক ভৃত্য ঘুমোচ্ছে। এতে তিনি ক্রোধে ফেটে পড়েন এবং তাকে মিনারের চূড়া থেকে ছুঁড়ে নিচে ফেলে দেন।

১৬০০ সালে আগস্টে আকবর সেনারা আসিরগাহ দুর্গ ঘিরে ফেলে কিন্তু উভয় পক্ষ একটা সমঝোতায় আসেন। স্মিথের ভাষ্যানুযায়ী এই দুর্গটিকে ভেঙ্গে ফেলার এক অভিনব ফন্দি তিনি এঁটে রেখেছিলেন। তিনি মিরান বাহাদুরকে আমন্ত্রণ জানান- শাহেনশাহ্‌ তার সাথে সমঝোতা করতে চান এবং তিনি তার মাথার দিব্যি দিয়ে বলেন যে তাকে নিরাপদে ফিরতে দেয়া হবে। সেই কারনে মিরান শান্তির প্রতীক হিসেবে একটি সাদা কাপড় উঁচিয়ে বের হর হয়ে আসেন এবং আত্মসমর্পন করেন। মিরান তিনবার আকবরকে কুর্নিশ করেন এবং হঠাৎ তাকে জোর করে ঠেলে মাটীতে শুইয়ে দেয়া হয় সিজদা অথবা কুর্নিশ পূর্ন করার জন্য। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ আকবের সামনে মাথা ঝুঁকাবে, এটাতেই আকবর অভ্যস্ত ছিল।

তার পরে তাকে গ্রেফতার করে এবং মিরানকে চাপ প্রয়োগ করা হয় তার সেনাপতিকে হুকুম দিতে আত্ম সমর্পন করার জন্য। কিন্তু সেনাপতি এই হুকুম মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং তার পুত্রকে পাঠান আকবরের সাথে আলোচনা করার জন্য কেন আকবর তার কথা দিয়ে কথা রাখলেন না। আকবর সেনাপতির যুবক পুত্রকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার পিতা স্বেচ্ছায় আত্মসম্পর্ন করবে কি করবে না? জবাবে সেই তরুণ বলেন তার পিতা কখনোই আত্ম সমর্পন করবে না এমনকি আপনি আমাদের রাজাকে মেরে ফেললেও না, তাদের রাজার আসনে নতুন রাজাকে বসানোর অন্য উত্তরাধিকারী আছে। এই কথা শোনা মাত্রই আকবর তাকে কসাইয়ের মত তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে ঐ তরুণকে হত্যা করে। পরিশেষে এমনি আরও অনেক ছল চাতুরী আর মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ধোঁকাবাজি করে সেই দূর্গ দখল করতে সমর্থ হয়।

বিঃদ্রঃ এই সকল ঘটনা গুলি ঘটেছিল তার মৃত্যুর পাঁচ বছর আগে কারন অনেকে আবার মনগড়া গল্প ফেঁদে বলে উঠতে পারে যে পরে আকবরের মন মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।

একই ভাবে ক্ষমতা ও আধিপত্যের লালসায়, তিনি বান্ডেলখান্ডের মহীয়সী রানি দূর্গাবতী সাথেও যুদ্ধ করেন এবং তার মানুষদের হত্যা করেন।

মহান আকবর বনাম মহারানা প্রতাপ

আকবেরের পা'চাটা ইতিহাসবিদগণ ব্যার্থ হয়েছেন ব্যাখ্যা দিতে যে কিভাবে এবং কেন আকবর ও মহারানা প্রতাপ একই সময়ে উভয়েই মহান ছিলেন যেখানে তারা দুজনে দুজনার চরম দুশমন ছিলেন।

এমনকি স্মিথও বলেছেন বিজয়ের লালসা ছাড়া আকবেরর কোন যৌক্তিক কারনই ছিল না চিত্তোড় আক্রমণ করার। মহারানা প্রতাপ যিনি তার দেশ ও জাতীর জন্য লড়াই করেছেন এবং চেষ্টা করেছেন সকল রাজপুতদের একত্র করে তাদের বোঝাতে যেন তারা এই বিদেশী শত্রুর সাথে নারী বিনিময় চুক্তি না করে। আর অন্য দিকে আকবর ছিল স্বার্থপর সন্ত্রাসী যিনি চাইতেন যে করেই হোক যতটা সম্ভব লুটররাজ ও দখল করতে।

আজকাল দেখা যাচ্ছে বিশ্বাস ঘাতকের রক্তে জন্ম নেয়া কথিত বুদ্ধিজীবী গন বলতে শুরু করেছেন যে মহারানা ও প্রতাপের মত কিংবদন্তীরা শুধু মাত্র তাদের রাজ্যের জন্য লড়াই করেছে এবং আকবরের মত হত্যা যজ্ঞ করেছে আর অন্যদিকে আকবর ও আওরঙ্গজেব দেশের একতার জন্য কাজ করেছে! কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে হত্যা, ধর্ষন, ও কিছু নপুংসক যোদ্ধাদের বিশ্বাস ঘাতকতার যুগে শিবাজী ও মহারানার মত মহান বলীয়ানরাই জাফরানী রঙের পতাকা উঁচিয়ে ধরে ছিলেন ( এই পতাকা ছিল জাতীয়তার প্রতীক কোন অন্ধ-মতাদর্শীতার প্রতীক নয়। ) এবং নিশ্চিত করেছিলেন এই সকল খুনি, বর্বর, দস্যুদের দৌরাত্ম কখনই স্থায়ী হতে পারে না এবং শ্রীঘই তা ধ্বংস হবে ।

আকবর এবং ইসলাম

মুসলিমরা বোকার মত বিশ্বাস করে যে আকবর ইসলামের মহানুভবতার প্রতিনিধিত্ব করেছে। কিন্তু তার বাপ, দাদা, পরদাদা, পরপর দাদা থেকে শুরু করে তাদের সমস্ত বংশধরেরা ইসলামের নামে শুধুই খুন, ধর্ষন, লুট, ধোঁকাবাজি, বর্বরতা ইত্যাদি সকল হীন কাজ করেছে শুধু মাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আকবর ছিল একজন মদ্যপ, নেশাসক্ত, নারী লোভী এবং তিন ডজনের বেশী স্ত্রী ছিল- কিন্তু এ বিষয়গুলো সব ছিল ইসলামে স্পষ্টত ভাবে হারাম।

আকবর গুজব রটিয়ে দিয়েছিল যে তিনি নিজেই ছিলেন আল্লাহ্‌র প্রেরিত পুরুষ। তিনি মানুষদের বাধ্য করেতেন তাকে আল্লাহ-ও- আকবর বলে ডাকতে। মুর্খ নির্বোধ মুসলিমরা সেটাকে বিশ্বাস করেছিল যে আল্লাহ্‌- ও আকবর বলে তারা আল্লাহ্‌কে প্রশংসা করছে। এখানে আকবর নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করছে। কাউকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য ইসলামে কখনই আল্লাহ্‌- -ও-আকবর বলে সম্বোধন করা হয় না। আবুল ফজলে বলেছেন তিনি নিজেকে সর্বব্যাপী হিসেবে উপস্থাপন করতেন।

আকবর তার নিজের বিশ্বাস দান-ই-ইসলাম চালু করেছিলেন যা মূলত নিজেকে মহা পুরুষ রূপে এবং নির্বোধ মতাদর্শ প্রচার করার জন্য। অবাক হবার কিছুই নেই তার তোষামোদ কারীরা তা সাননন্দেই গ্রহণ করেছিল কিন্তু এই গণ্ডমূর্খের মতাদর্শ তার মৃত্যুর পর পরই হারিয়ে যায়।

কেন সকলে আকবরের প্রশংসা করেছেন তার কারনটা কারো অজানা নয়। যেহেতু সে নিজের আত্ম ঘোরে হিন্দুত্ববাদ ও ইসলামকে নিয়ে মজা করেছে সেহেতু বাইবেল পন্থিরা আকবর ছাড়া আর এমন কাউকে পায়নি যাকে সম্মানের এমন উচ্চ শিখরে বসাবে। মূলত আকবর ছিলেন সচতুর মুসলিম শাসকদের মধ্যে একজন যিনি হিন্দু, মুসলিম এবং এমনকি খ্রিস্টানদের নিয়েও খেলতে পারতেন এবং নিজেকে পরম পুরুষ বলে দাবী করতে পারতেন। আপনি ভিনসেন্টে স্মিথের বইয়ে আরও বৃত্তান্ত পাবেন।

আকবর ছিল কথা বার্তায় বেশ পটু। ভিনসেন্ট স্মিথ আকবরের প্রশংসা করে বলেছে, তার ভাষা অলংকার সমৃদ্ধ হলেও তিনি তার জীবনে যে স্তরের বর্বরতা নিদর্শন রেখেছেন তা ছিল চরম বিপরীত। স্বঘোষিত নবীর যর্থাত লক্ষণই বটে!

এমনকি আকবর গুজব ছড়িয়ে ছিলেন যে আল্লাহ্‌ তাকে ঐ পানির মাঝে রোগ উপশম করার ক্ষমতা প্রদান করেছেন। এই পানি তার পা ধোয়ার কাজে ব্যাবহার করার হতো। এখানে সহি বুখারী ও সহি মুসলিম হাদিয়ার কয়েকটি লাইনের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে মুহাম্মদও একই দাবী করেছেন। এভাবে সে লোকদের তার পা ধোয়ার পানি পাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন এবং সে পানি গ্রহণের জন্য লম্বা লাইনও হয়ে যেত। সে যেভাবেই হোক আকবর ইসলামকে ঠিক রাখার জন্য শুধু মাত্র নির্বোধ হিন্দুরের জন্যই এই ব্যবস্থা করেছেন কোন মুসলিমদের জন্য নয়। তার সভাসদ গন তাকে খুশী রাখার জন্য বাধ্য হয়ে সেই জল পর্যন্ত খেতে হতো।

অশিক্ষিত মায়েরা তাদের বাচ্চাদের তার পায়ের নীচে রাখতেন এবং নিজেকে ফকীরের মত ভান করে তাদের দোয়া দিতেন। মূলত এই রঙ্গভঙ্গ গুলো ছিল তার সৃষ্ট নতুন ধর্মের সূচনা।

মহান আকবর ও জিজিয়া ব্যাবস্থা ইসলামিক শরীয়া অনুযায়ী অমুসলিমদের জিজিয়া প্রদান করতে হয় লুট, ধর্ষন এবং হত্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য যেমন করে গাব্বার সিং রামগড় থেকে অর্থ ও খাদ্য সংগ্রহ করত। বলা হয়ে থাকে এই ব্যাবস্থা আকবর রদ করেছিল কিন্তু তার একটিও কোন দালিলিক প্রমাণ নেই। বিশেষ কারনে এই ব্যাবস্থা উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল রন্থাম্ভোরে চুক্তির অন্যতম অংশ হিসেবে যেখানে বলা হয়েছিল জিজিয়া বদলে তারা তাদের নারীদের রাজ হারেমে প্রদান করবে।

তবে এই একথা সত্য যে আকবরকে অনেকে অনুরোধ করেছিল এই জিজিয়া ব্যাবস্থা তুলে নেবার জন্য। এবং রাজনৈতিক কারনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা শিথিলও করা হয় কিন্তু সম্পূর্ন রদ করার সাহস তিনি কোনদিনও করেননি কারণ তার ইসলামকে সঠিক জায়গায় রাখতে হবে না।

আকবর ও তাহার পুত্রঃ যে সকল মুসলিম শাসকেরা ভারত বর্ষ শাসন করেছে তাদের মাঝে পিতার সাথে বিদ্রোহ করার একটা বড় ধরনের অটুট প্রথা প্রচলিত ছিল। হুমায়ুনের প্রতি বাবরের ছিল চরম অনাস্থা ও বিদ্বেষ তেমনি আকবর ছিলেন জাহাঙ্গীরের কাছে, জাহাঙ্গীর ছিলেন শাহাজাহানের কাছে , শাহাজাহান ছিলেন আওরঙ্গজেবের কাছে । জাহাঙ্গীর তথা সেলিম ১৬০২ সালে নিজেকে শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন এবং এলাহাবাদে তার নিজস্ব রাজ দরবার ছিল।

প্রসঙ্গত ভাবে উল্লেখ যোগ্য যে , তার কয়েক বছর আগেই আকবর তার জিহাদি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হিন্দুদের অবজ্ঞা ও অপমান করে এবং মুসলিমদের বোকা বানিয়ে প্রয়াগরাজ নাম পরিবর্তন করে এলাহাবাদে নামকরণ করেন।

জাহাঙ্গীর পিতার মৃত্যুর জন্য প্রার্থণা করতেন এবং এমনকি নিজের মুদ্রা নীতি চালু করে। স্মিথ বলেছেন যে জাহাঙ্গীরের এই বিদ্রোহ সফল হলে সে তার পিতা আকবরকে হত্যা করত। সে তার পিতাকে হত্যা করার স্বর্ণ সুযোগটি হারায় কিন্তু তার নাতি আওরঙ্গজেব তার স্বপ্ন পুরুণ করে। যদিও ইতিহাসবিদদের কেউ কেউ মনে করে জাহাঙ্গীরই বিষ খাইয়ে তার পিতাকে হত্যা করে।

আকবর ও সন্দেহভাজনের করুন পরিণতিঃ আকবরের একজন কর্মচারী ছিল যার একমাত্র কাজ ছিল আকবর যাদের অপছন্দ করবে তাদের বিষ খাইয়ে হত্যা করবে। কোন কোন ইতিবাদবিদরা বলেন আকবরেরও ঐ একই পরিণতি হয়েছিল।

আকবর তার জীবদ্দশায় তার বিশ্বস্ত এবং কম বিশ্বস্ত অনেককে হত্যা করেছে শুধু মাত্র সন্দেহের বশে। এর তালিকায় আছে বিরাম খান, জামান, আসাফ খান ( তার অর্থ মন্ত্রী), শাহ মনসুর, মানসিংহ, কামরানের পুত্র, মাখদুম মুল্ক, শেখ আবদুর নবী, ফারহগুন্দি, মইজুল মুল্ক, এবং আরও অনেকে যারা তার সন্দেহের মধ্যে ছিল। এই তালিকা স্মিথের বই থেকে পাওয়া যায়। আকবর জেমালকে হত্যা করে তার স্ত্রীকে তার হারেমের জন্য বন্দী করে এবং পরে সে গুজব রটিয়ে দেয় যে জেমালের স্ত্রী আত্যহত্যা করতে গিয়েছিল তখন সে তাকে রক্ষা করে।

দান শীল আকবরঃ আকবরের শাসনামলে মৃত ব্যাক্তির সমস্ত সম্পত্তি বাদশা দ্বারা জব্দ করা হত এবং এই সম্পত্তির উপর তার পরিবারের কোন অধিকার থাকত না। পরবর্তীতে হয়তো লোক দেখানো দয়া দেখিয়ে সেই পরিবারকে নতুন ব্যাবসা চালু করা জন্য সামান্য কিছু সহায়তা দেয়া হত।

তার মায়ের মৃত্যুর এক বছর আগেই আকবর নিজেই এই পৃথিবীতে তার মায়ের বোঝা কমিয়ে দিয়ে ছিল তার সমস্ত সম্পত্তি গ্রাস করে যদিও তার মায়ের ইচ্ছে ছিল তার সমস্ত সম্পত্তি পরিবারের সবার মাঝে সুষম ভাবে বণ্টন করা হবে।

আকবর ও তার নভ-রত্ন:

বিক্রমাদিত্যের বিখ্যাত গল্পের মত আকবরের রাজদরবারের নভ রত্ন সম্পর্কিত সকল গল্পই ছিল মিথ্যা ও বানোয়াট। আসল কথা হচ্ছে আকবর তার মন্ত্রী পরিষদের সকল মন্ত্রী ও সভাসদগনদের খুবই বোকা মনে করত। আকবর একসময় বলেছিল, সে আল্লাহ্‌কে ধন্যবাদ জানায় এই কারনে যে তার রাজদরবারে কোন যোগ্য লোক পাননি অথবা সেখানে এমন কেউই ছিল না যে মনে করত বাদশা যা কিছু করেন তা সভাসদগনের মেধা দিয়ে করেন, তার নিজের বুদ্ধি দিয়ে নয়।

তোদারমাল ছিল আকবরের রত্ন সংগ্রাহক। নিয়মটা ছিল খুবই সাধারণ -হয় দাও নয়তো চাবুকের আঘাত সহ্য কর আর নিজের স্ত্রী সন্তানদের বিক্রি কর। আবুল ফজলে ছিল তার শ্রেষ্টতম খাঁটি চাটুকার। আকবরের আনুকল্য পাবার জন্যেই সে আকবরকে প্রশাংসায় ভাসিয়ে দিয়ে যতসব আজগুবি কাহিনী রচনা করে। শেষ পর্যন্ত আকবরের পুত্র জাহাঙ্গীরই তাকে হত্যা করে।

ফাইজি ছিল একজন সাধারণ মানের কবি। কিভাবে চাটুকারি করে তার মালিককে খুশী রাখা যায় এই বিদ্যেটা ফাইজি বেশ ভালভাবেই রপ্ত করেছিল। অনেক ইতিহাসবিদ দাবী করেন তার সময় সে ছিল শ্রেষ্ট কবি। আমি এই বিষয়ে একটা কথাই বলব আকবরের বিদ্যের বহর আর রুচিবোধ যে স্তরে ছিল তাতে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে তার রাজদরবারে কবিদের স্তরও সেই রকমই সাংঘাতিক রকমের নিম্নমানেরই হবে।

যুদ্ধে বীরবলের মৃত্যু হয়েছিল খুবই লজ্জাজনক ভাবে। বীরবল-আকবরের কৌতুকগুলো হচ্ছে তার নামে মিথ্যা অলীক গল্প মাত্র। আমরা দক্ষিণ ভারতে তেনালিরামা নামেও একই রকম গল্প শুনতে পাই।

আকবরের হুকুমে আবুল ফজলে নিজ হাতে শাহ, মনসুরকে হত্যা করে।

মানসিংহের মত বিশ্বাসঘাতক ভারত বর্ষে আর দ্বিতীয়টি জন্ম নেয়নি। সে তার বোনকে জাহাঙ্গীরকে দেয়। এবং এমনকি পববর্তীতে জাহাঙ্গীর মানসিংহের উপর চাপ সৃষ্টি করে তার দৌহিত্রীকে (নাতনী) হারেমে রাখার জন্য। আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানসিংহকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে এবং ভগবান দাস (মানসিংহের পিতা) আত্মহত্যা করে।

আর অবশ্যই আকবরের কৃপার জন্য তার চরণামৃত পান করা ছাড়াও সভাসদগনেরা উপহার হিসেবে তাদের নারী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের দিতে বাধ্য হত।

আকবরের নেক নজরের জন্য তোদারমাল নৃশংসভাবে কর আদায় করত। কিন্তু তোদারমাল যে দেব দেবীদের পূজা করত আকবর সেগুলো ধ্বংস করে দেয়। এতে তোদারমাল মনে দারুণ আঘাত পায় এবং অর্থমন্ত্রির পদ ছেড়ে দিয়ে বেনারসে চলে যায়!

ক্রীতদাসের প্রতি আকবরের ভালবাসা।

বিদায়ক্ষনে আকবর এক খ্রিস্টীন পাদ্রীকে এক রাশিয়ান পরিবার উপহার হিসেবে দিয়েছিল। এ থেকে এটাই বোঝা যায় আকবর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দাস/দাসী সংগ্রহ করত। কান্দাহারে আকবর বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহীদের দাসে পরিণত করেছিল কারন তারা ১৫৮১-৮২ সালে অর্পিত কিছু বিধান প্রণয়নের বিরীধিতা করেছিল। পরে তাদের বিক্রি করে ঘোড়া কেনা হয়েছিল। যখন রাজকীয় শোভাযাত্রা করা হত তখন হেরেমের নারীদের জন্তু জানোয়ারের মত সোনার খাঁচায় বন্দী করে রাখত। বলার অপেক্ষাই রাখে না ইসলামের বিধান অনুযায়ী বন্দীদের দাস মনে করা হয়।

দাস পরিণত করার আকবর কিছু কৌশল উদ্ভাবন করেছিল। তার চাটুকাররা যেকোন একটা ঘোড়ায় মাথার উপরে ফুল রাখত যা কেবল তারাই খুঁজে বের করত। এতে করে ঘোড়ার মালিকের কাছে দুটো রাস্তাই ছিল - হয় যাত্রার জন্য একমাত্র বাহনটিকে ছেড়ে দিতে হবে (তখন কার যুগে যোগাযোগ ব্যাবস্থা সোমালিয়ার রাজধানীর চেয়েও খারাপ ছিল।) নয়তো আকবরের ভাড়ায় খাটা দাসত্ব গ্রহণ করতে হবে।

বিবিধ

যখন আকবর মারা যায় তখন শুধুমাত্র আগ্রায় তার দূর্গ থেকে ২০ মিলিয়নের বেশী স্বর্নমুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল। সম পরিমাণ সম্পদ আর ৬টি নগরী থেকে পাওয়া গিয়েছিল। অথচ ১৫৯৫-১৫৯৯ সালে ইতিহাসে স্মরণকালে দূর্ভিক্ষের সময় সে দেশকে সাহায্য করার জন্য একটি ফুটো পয়সাও খরচ করেনি।এ থকে সহজেই অনুমেয় ১৫৭৩-৭৪ এবং ১৫৮৩-৮৪ সালের দূর্ভিক্ষে তার অবদান কি ছিল!

প্রায়োগরাজ তীরে বসবাসরত সমস্ত জনগোষ্টীকে আকবর জবাই করে হত্যা করেছিল (পরে এই কসাইরা এর নাম পরিবর্তন করে রাখে এলাহাবাদ) এবং ঐ অঞ্চলের সমস্ত স্থাপনা ধ্বংস করে দেয় কারন আকবর যখন ঐ নগরী জয় করে তখন সেখানকার বাসিন্দারা যার যার গৃহে লুকিয়ে ছিল। সেই কারনেই আমরা প্রায়োগরাজে কোন পুরানতন স্থাপনা দেখতে পাই না।

কথিত আছে যে আকবর ফাতেহ্‌পুর শিকরি নির্মান করেছে কিন্তু তার কোন নির্ভর যোগ্য দালিলিক প্রমান নেই। অন্যন্যা প্রতারক ইসলামিক শাসকের মতই সে এটাকে দখল করেছে এবং নিজের বলে দাবী করেছে। পরবর্তীতে তার পপৌত্রও একই পন্থা অবলম্বন করে, এই সন্ত্রাসবাদীকে বলা হয় শাহাজাহান যে দাবী করে তার ৪র্থ স্ত্রীর মৃত্যুর স্মরণে সে তাজ মহল গড়েছিল!

যে দেশে এই রকম জল্লাদদের নিয়ে গর্ব করে স্তুতি করে সেই দেশ ধ্বংস হতে বাধ্য। পঞ্ছাতন্ত্র আপ্তলি বলেছেন যে ''যেখানে যোগ্য ব্যাক্তিদের সরিয়ে অযোগ্য মানুষদের পূজা করা হয় সেখানে তিন হুমকি সর্বদা কড়া নাড়ে -মৃত্যু, নৈরাজ্য এবং ভয়।''

তাই এখনই সময় এসেছে আমরা বাঙ্গালীরা আমাদের হৃদয়ের প্রতিটি কোন থেকে এই রকম নকল নায়কদের সকল মূর্তী ভেঙ্গে ফেলি এবং সেই সকল অসংখ্য সম্মান যোগ্য বীরদের যাদের আমরা আজ মনে রাখি না তাদের সম্মান দিতে শুরু করি। হিন্দুদের অবশ্যই উচিত সমাজকে এমন স্তরে উন্নতি করা যেখানে এই সকল নর পিশাচ লুটেরাদের কথা কেই স্মরণ করবে না। এবং মুসলিমদেরও উচিত হবে এই রকম জঙ্গিবাদীদের ছুঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া কারন এরা ইসলামের নামে নির্লজ্জ উপহাস ছাড়া আর কিছুই করেনি।

আশা করব ইতিহাস থেকে গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা নিয়ে আমরা অন্তবর্তীকালীন সকল খল নায়কদের বাদ দিয়ে আমরা আমাদের মূলে আরো সন্নিকটে চলে আসব এবং আমরা এটাই শিক্ষা নেবো কেন দুষ্টদের কোন নৈরাজ্য সৃষ্টি করার কোন সুযোগ না দিয়ে তাদের দৃঢ়ভাবে রুখে দিতে হবে। আমরা এই শিক্ষাই নেবো কেন কাগজের বাঘকে সম্মান দেখালে এর পরিণতি কেবল মন্দ থেকে মন্দতর হবে এবং সত্য ও ন্যায়ের ব্যাপারে কোন আপোষ করা হয় তা হবে বড় ধরনের অক্ষমতার সামিল।

মুসলিমদের মনে রাখা উচিত তাদের পূর্ব পুরুষেরা অমানবিক বর্নানাতীত নারকীয় ভাবে অত্যাচারিত হয়েছেন এবং তারপরে তাদের জোর পূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে ঐ জঙ্গিদের দ্বারা যারা জীবন যাত্রায় মানুষের হাত কেটে স্তম্ভ স্থাপন করে এবং যখনই ইচ্ছে নারীদের ধর্ষন করে। আমরা আশা করব সঠিক মন মানসিকতার মুসলিম ভাই ও বোনেরা স্বতঃ প্রনোদিত হয়ে অন্তর্বতীন কালের এই সকল মানহানিকর বিষয়গুলিকে অবজ্ঞা করে তাদের ভিত্তির মূল উৎস বৈদিক ধর্মে ফিরে আসবেন।

বিঃ দ্রঃ আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান, টিপু সুলতান, আলেকজান্ডারের মত নীচ প্রকৃতি মানুষদের মহা মহিমান্বিত করার জন্য কোটি কোটি ডলার সংগ্রহ ও খরচ করা হয় বলিউডে বস্তাপচা সিনেমায়, নাটকে সিরিয়ালে, কবিতায়, গানে , এবং গজলে । এবং পরাগাছা বুদ্ধিজীবী, অভিনেতা, অভিনেত্রী, প্রযোজক, পরিচালক, লেখক, গায়ক, গায়িকা, রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ এই রকম লজ্জাজনক কাজ গুলো করে নির্লজ্জের মত খুব গর্ব করে। আর অপর দিকে ভারত বর্ষের মহাবীর দেশ প্রেমিক মহাবীর রানা প্রতাপ সিং, ছাত্রাপতি শিবাজী, গুরু গোবিন্দ সিং, ছাত্রাসাল, গজ সিং , দুর্গা দাস, রানা সাঙ্গা, রানা কুম্বা'র মত বীরদের প্রতি আমরা খুব কম আলোকাপাত করি। গুগুল সার্চ করলে ঐ সকল নীচ প্রকৃতি কসাইদের হাজার হাজার লিঙ্ক পাওয়া যাবে কিন্তু সেসকল সত্যিকারে বীর যারা অনুকরনীয় তাদের খুবই কম পাওয়া যাবে। এই পরিস্থিতি খুবই লজ্জা জনক । সেই যাই হোক , অগ্নীবীর সে সকল সত্যিকারের বীরদের প্রতি সশ্রদ্ধ সম্মান প্রদর্শন করছে।

♦সূত্রঃ

• Akbar – the Great Mogul by Vincent Smith
• Akbarnama by Abul Fazl
• Ain-e-Akbari by Abul Fazl
• Who says Akbar is Great by PN Oak
• Smith, V., "Akbar, The Great Mogul," 2nd Edition, S.Chand and Co., Delhi, 1958.
• Todd, James.,"Annals and Antiquities of Rajasthan," 2 volumes, Routledge and Kegan Paul Ltd., London, 1957.
• Shelat J.M, "Akbar," Bharatiya Vidya Bhawan, 1964, Bombay.
• Blochmann, H., "Ain-e-Akbari," translation of Abul Fazal's Persian text, 2nd Edition, Bibliotheca Indica Series, published by the Royal Asiatic Society of Bengal.
• Briggs, John, "History of Mahomedan Power in India (till the year 1612 A.D)," Vol.2, Translated from the original Persian of Mahomad bin Ferishta, S. Dey Publication, Calcutta, 1966.
• Shrivastava, A.L., "Akbar the Great," Vol.1, Shiv Lal Agarwal and Co., Agra.
• Monserrate S.J., "The Commentary," translated from original Latin by J.S. Hoyland, annotated by S.Banerjee, Humphrey Milford, Oxford Univ. Press, London, 1922.
• Blochmann H., "Ain-i-Akbari" edited by D.C Phillot, Calcutta, 1927.
• Elliot and Dowson," Tuzak-i-Babari", Vol.4.
• The Great Moghuls, By B.Gascoigne, Harper Row Publishers, New York, 1972, পৃষ্টাঃ ১৫, ৬৮-৭৫,
• The Cambridge History of India, Vol. IV, Mughal India, ed. Lt. Col. Sir W.Haig, Sir R.Burn, S,Chand & Co., Delhi, 1963, পৃষ্টাঃ ৭১-৭৩
• The Builders of The Mogul Empire, By M.Prawdin, Barnes & Noble Inc, New York, 1965,পৃষ্টাঃ ১২৭-২৮
• Same as ref. 1, পৃষ্টাঃ ৮৮-৯৩, ৯৭-৯৯, ১৩৭-৩৮
• An Advanced History of India, by R.C.Majumdar, H.C.Raychoudhury, K.Datta, MacMillen & Co., London, 2nd Ed, 1965, পৃষ্টাঃ ৪৪৮-৪৫০
• Encyclopedia Britannica, 15 th Ed, Vol.21, 1967, পৃষ্টাঃ ৬৫, ৮৫
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন